বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

স্বদেশ ডেস্ক

টিসিবি জুলাই মাসে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে যে কয়টা দোকান প্রয়োজন সে অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য প্রদানের চেষ্টা করব। সেখানে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে, অন্যরা ন্যায্যমূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবেন। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তা ১ জুলাই থেকে শুরু করব।’

মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারা এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ যাতে পর্যাপ্ত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে এক কোটি পরিবার কম দামে খাদ্যপণ্য কিনতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘রমজানের সময় ভারতের পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আমরা বিশেষভাবে ভারত থেকে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারে। এর ফলে এখনো পেঁয়াজের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে।’

সব পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, শুধু যোগ্য ব্যক্তিরা টিসিবি থেকে পণ্য পাবেন। প্রয়োজনে কিছুদিন পর পর তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। আমরা পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন অনুযায়ী আমদানি করছি। টিসিবি কার্যক্রমের মাধ্যমে পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে আনার বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক নেই। আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে কথা বলছি, যেন আগামী বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়।’

টিসিবির মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি পারিবারিক কার্ডধারী ব্যক্তি দুই লিটার পর্যন্ত সয়াবিন বা রাইস ব্র্যান অয়েল, পাঁচ কেজি চাল এবং দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন।

প্রতি লিটার সয়াবিন বা রাইস ব্র্যান অয়েলের দাম পড়বে ১০০ টাকা। টিসিবি প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় এবং মসুর ডাল ৬০ টাকায় বিক্রি করবে। চিনি ও পেঁয়াজ টিসিবির তালিকায় থাকলেও এবার বিক্রি হবে না।

মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ কী নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা কারণে সারা পৃথিবীতেই এখন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে। এই জিনিসটার জন্য আমাদের অন্য মন্ত্রণালয় আছে। আমরা আশা করি, আগামী বাজেটে এটার রিফ্লেকশন দেখতে পাবেন। মূল্যস্ফীতি কমানোটা আমাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না। আমাদের দায়িত্ব বাজারে পণ্য সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা। আমরা সেটারই চেষ্টা করছি।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877